Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
মাইজখাপন ইউনিয়নের শ্মশান ঘাট
label.image.title
প্রতিষ্ঠানের ধরণ
স্মশানঘাট
প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম
শ্মশান ঘাট
পদবি
শ্মশান ঘাট
মোবাইল
0173211111111
ঠিকানা

ইতিহাস

মাইজখাপন ইউনিয়নে অনেক হিন্ধুর্মালম্বীর বসবাস। মাইজখাপন ইউনিয়নে উল্লেখযোগ্য ঐহিহাসিত বা বাধানো শ্মশান ঘাট নেই। অত্র ইউনিয়নের সনাতন ধর্মীরা কোন লোকের মৃত্যুর পর তার শেষ অন্তেষ্টিক্রিয়া নদীর পাড়ে বা নিজস্ব ভুমিতে করে থাকেন। বেত্রাটি গ্রামে দূর্গা মন্দিরের সামনে একটি নিদিষ্ট স্থানে দাহ করে থাকেন। আর মন্দিরের সামনের নদীর পাড়ের এই স্থানটিই শ্মশান নামে পরিচিতি লাভ করে। 

প্রশ্ন:-হিন্দু ধর্মে মৃত দেহকে দাহ করা হয় কেন? 

.#উওর:- সনাতন শাস্ত্রমতে জড়জগতে মানুষ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জীব পঞ্চভূতের (আকাশ,বাতাস,জল, আগুন ও মাটি) সাহায্যে তৈরি ।

আর যখন কোন ব্যক্তি মারা যায় তখন ঐ ব্যক্তিকে ধর্ম শাস্ত্রের নিয়মে পঞ্চভূতে মিশিয়ে দিতে হয় । আর মানুষ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জীবকে মৃত্যুর পর পঞ্চভূতে  মিশানোর পথ হচ্ছে দুটা

১.অগ্নিতে দাহ করা ও 
২.কবর দেওয়া ।

সনাতন ধর্মে বৈদিক ঋষিরা ত্রিকালদর্শী হওয়ায় তারা আগে থেকেই জানতেন পৃথিবীতে এক সময় মানুষের বসবাসের অভাব দেখা দেবে ফলে মানুষ জলে বসবাস করবে । সামাজিক ভাবে দেখলে বুঝা যাবে যদি একটা মৃত ব্যক্তি সাড়ে তিন হাত জায়গা দখল করে তাহলে কোটি কোটি মৃত  ব্যক্তির জন্য প্রতি বছর এত জায়গা কোথায় পাবে । বার, বৈজ্ঞানিক ভাবে দেখলে বোঝা যাবে বিজ্ঞানীরা সাধারণ একটি অসুস্থ পশু- পাখি মারা গেলে পুড়িয়ে ফেলতে বলে কারণ হিসেবে বলে অসুস্থ পশু-পাখিকে 
মাটিতে কবর দিলে তা মানুষ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে । তাহলে একটু চিন্তা করে দেখুন সেখানে এতবড় একটা রোগাগ্রস্থ মানুষকে কবর দিলে কতটুকু ক্ষতি হতে পারে ।

আরেকটি দিক হচ্ছে, মৃত্যুর পর আত্মা মানুষের দেহ থেকে চলে গেলে সেই দেহটি জড়বস্তুতে পরিণত হয় আর ঐ আত্মা নতুন দেহ ধারণ করে । হাজার হাজার বছর আগে  এসব দিক বিবেচনা করে ত্রিকালদর্শী ঋষিরা ভগবানের শাস্ত্রীয় নির্দেশে মৃত দেহকে দাহ বা পুড়িয়ে ফেলতে বলেন এবং এটাই উত্কৃষ্ট পন্থা হিসেবে বিবেচিত । তাছাড়া এ পদ্ধতি যেমন মাটি ও জীববৈচিত্রের ক্ষতি করে না ।তেমনে আগামী প্রজন্মকে জায়গার জন্য বিপদে ফেলে না । সনাতন ধর্মের অজানা প্রশ্ন ও উওর 

#প্রশ্ন:- হিন্দু ধর্মে মৃত ব্যক্তিকে দাহ করার সময় মুখাগ্নি করা হয় কেন ?

#উওর:- সনাতন শাস্ত্রমতে মানুষ মৃত্যুর পর স্বর্গবাসী হয় অর্থাত্ দেবলোকে যায় । বৈদিক নিয়ম অনুসারে দেবলোকে পাঠাতে হলে দেবতাদের পুরোহিত অগ্নিতে আহুতি দিতে হয় । অগ্নিদেবই সে অর্চনা বা আহুতির মাধ্যমে দেবলোকে নিয়ে যান ।যিনি মৃত্যুপ্রাপ্ত হয়েছেন তার প্রাণবায়ূ অগ্নিদেবকে আহুতি না দিলে কি করে স্বর্গবাসী হবেন । প্রাণবায়ূ মুখদিয়ে বের হয় বলে মন্ত্র পাঠ করে মুখে অগ্নি সংযোগ করতে হয়